Click Here
Click Here
Click Here

আজ থেকে ২৩০ বৎসর পূর্বে ১৭৮৭ সালের ১ মে জেলা হিসাবে বর্তমান বৃহত্তর ময়মনসিংহের পত্তন হয় । জেলা ঘোষণার পর নোয়াখালী জেলার কালেক্টর মি. রটন সর্বপ্রথম এই জেলার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । এ জেলার উত্তরে গারো পাহাড় ও আসামের গোয়ালপাড়া জেলা পশ্চিমে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলা-দক্ষিণে মানিকগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলা এবং পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলা । ময়মনসিংহ জেলার আদি নাম ছিলে মোমেনশাহী । মনে করা হয় যে, ময়মনসিংহ নামটি মোমেনশাহী পরিবর্তিত রূপ। দিল্লীর সম্রাট আকবরের সময় এ এলাকার নাম —মোমেনশাহী’ ছিল বলে —আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থে উল্লেখিত রয়েছে । এই —মোমেনশাহী’-ই উচ্চারণ বর্ণ ও লিপি বিড়ম্বনায় বর্তমান ময়মনসিংহ রূপ পরিগ্রহ করেছে এবং ইংরেজদের উচ্চারণ বিভ্রাটের ফলেই এ নামকরণটির সৃষ্টি হয়েছে এবং বর্তমানে তা-ই স্থায়ী হয়ে রয়েছে ।১৭৯১ সালে মযয়মনসিংহ জেলা সদরের নাম ছিল নাসিরাবাদ । নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহের নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়। ১৯০৫ সালে এই নাম পরিবর্তন হয়ে মযয়মনসিংহ মিউনিসিপ্যালিটি হয় ।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহর সাথে অনন্য ভূমিকা পালন করেন এই জেলার কৃতী সন্তান ধনবাড়ির জমিদার নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী; এমন কি অর্থ সংকটের কারণে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তখন এই নওয়াব আলী তার জমিদারীর অংশবিশেষ বিক্রয় ও বন্ধক রেখে অর্থের সংস্থান করেছিলেন । যিনি অবিভক্ত বাংলার ৩ বার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ।

জ্ঞান তাপস ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ‚যারা তার যোগ্য সন্তানদের স্মরণ করেনা, সম্মান দেয়না, সেখানে যোগ্য সন্তান জন্মায় না“ সেই কারণে এই প্রয়াস । একে অন্যের সাথে সৌহার্দ, বন্ধুত্ব, বিপদে-আপদে কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি ।

এ প্রসঙ্গে কবির ভাষায়-
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনি পরে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে

আমরা পরের তরে

“পারস্পরিক ভালোবাসা, বিশ্বাস, সমঝোতা, সৌহার্দ ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আসুন আমরা কাজ করি একসাথে নিজেদের কল্যাণে, মানবতার কল্যাণে ।

ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম (বি.এন.অবঃ)
সভাপতি
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি, চট্টগ্রাম

Scroll to Top