
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা
ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ কুমিল্লা নগরী। নবাব ফয়জুনেচ্ছা, রাজা বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর, সংগীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মন, ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কিংবা জাতীয় কবি নজরুল সমৃদ্ধি লাভ করেছে কুমিল্লা। ঐতিহাসিকরা জানান, পঞ্চম শতাব্দীতে ভারতের বিহারে গড়ে ওঠা পৃথিবীর বুকে গড়ে ওঠা প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য কুমিল্লার সন্তান মহাস্থবির শীলভদ্র।
গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যের পাশাপাশি কুমিল্লা হলো শিক্ষা-সংস্কৃতির পাদপীঠ। আধুনিক শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৮৩৫ সালে রবার্ট মেকলের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। এই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, যা বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার পরেই ১৮৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জিলা স্কুল। যদিও তার পূর্বেও কুমিল্লা শহরে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ছিল। মরিস বুকানন তার ভ্রমণকাহিনিতে লিখেছেন, ১৭৭০ সালে তিনি যখন ঢাকা থেকে কুমিল্লার ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম গমন করেন তখন কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জ এলাকায় গিরিধারী স্কুল নামে একটি বিদ্যাপীঠের সন্ধান পান। গিরিধারী বিদ্যাপীঠ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা আজও উদ্ঘাটিত হয়নি। বেগম রোকেয়ার জন্মের ৭ বছর পূর্বে ১৮৭৩ সালে নারী শিক্ষার জন্য নবাব ফয়জুন্নেসা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হলো ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়। রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শুধু চট্টগ্রাম বিভাগে নয় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ এ কথা সর্বজন স্বীকৃত। কুমিল্লা জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেসা স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ এখনো সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।

সভাপতির বাণী
অপেক্ষমান…

সভাপতির বাণী
অপেক্ষমান…