Home

বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা

Latest Update
অনুরোধ – সমিতির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আজীবন সদস্যদের ছবি, মোবাইল নাম্বার, নতুন ঠিকানা সহ বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা এর অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হলো।

বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা

ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ কুমিল্লা নগরী। নবাব ফয়জুনেচ্ছা, রাজা বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর, সংগীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মন, ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কিংবা জাতীয় কবি নজরুল সমৃদ্ধি লাভ করেছে কুমিল্লা। ঐতিহাসিকরা জানান, পঞ্চম শতাব্দীতে ভারতের বিহারে গড়ে ওঠা পৃথিবীর বুকে গড়ে ওঠা প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য কুমিল্লার সন্তান মহাস্থবির শীলভদ্র।

 

গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যের পাশাপাশি কুমিল্লা হলো শিক্ষা-সংস্কৃতির পাদপীঠ। আধুনিক শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৮৩৫ সালে রবার্ট মেকলের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। এই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, যা বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার পরেই ১৮৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জিলা স্কুল। যদিও তার পূর্বেও কুমিল্লা শহরে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ছিল। মরিস বুকানন তার ভ্রমণকাহিনিতে লিখেছেন, ১৭৭০ সালে তিনি যখন ঢাকা থেকে কুমিল্লার ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম গমন করেন তখন কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জ এলাকায় গিরিধারী স্কুল নামে একটি বিদ্যাপীঠের সন্ধান পান। গিরিধারী বিদ্যাপীঠ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা আজও উদ্ঘাটিত হয়নি। বেগম রোকেয়ার জন্মের ৭ বছর পূর্বে ১৮৭৩ সালে নারী শিক্ষার জন্য নবাব ফয়জুন্নেসা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হলো ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়। রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শুধু চট্টগ্রাম বিভাগে নয় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ এ কথা সর্বজন স্বীকৃত। কুমিল্লা জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেসা স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ এখনো সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।

IMG-20250318-WA0015
জনাব মাহবুবুর রহমান খোকন
সভাপতি
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা।

সভাপতির বাণী


সভাপতির বক্তব্য

ঢাকা প্রবাসী কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিবাসীদের যোগাযোগের সেতুবন্ধন বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি। এ সমিতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকায় বসবাসরত উন্নয়নের তিন জেলার প্রবাসী জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি সৃষ্টি, ঐক্য উন্নয়ন ও কল্যাণ করা। নিঃসন্দেহে এ কথা বলা যায়, বৃহত্তর কুমিল্লা একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী। শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক-পাহক হিসাবে পরিচিত কুমিল্লার উর্বর মাটি জন্ম দিয়েছে অসংখ্য শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, রাজনীতিক এবং নির্লোভ প্রাণ সমাজকর্মী। সর্বক্ষেত্রে কুমিল্লার মানুষের সুদৃঢ় অবস্থান এ জেলার অতীত ঐতিহ্যের প্রমাণ বহন করে। অধ্যবসায়, পরিশ্রম এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের বিচরণ আজ সমগ্র বিশ্বের আনাচে-কানাচে। তারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আজো দেশের রাজনীতি, প্রশাসন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কুমিল্লার উজ্জ্বল জ্যোতিষ্করা নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

বলার অপেক্ষা রাখে না, রাজপথে কুমিল্লার কৃতি সন্তানরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আজো পালন করে চলেছেন অসামান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে দর্শনের সূত্রপাত হয়েছিল অভিজাত কুমিল্লার চিহ্নায়ন। ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি একটি মহৎ আদর্শকে সামনে রেখে কাজ করে চলেছে। সুপথে পথ পরিক্রমায় সমিতি যে আদর্শ থেকে চল পথিকৃত, বিগত হয়নি। আর যে কারণে হচ্ছে প্রতিনিয়ত ঐতিহ্যের লালন করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ঢাকা প্রবাসী বৃহত্তর কুমিল্লার অধিবাসীদের সম্প্রীতির বন্ধনকে সুদৃঢ় রাখে।

বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি’র অগ্রযাত্রার সহযাত্রীসমূহকে অন্তর থেকে শুভকামনা। রূপায়নের সময়কে লক্ষ্যে রেখে করে চলছে শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের কার্যক্রমকে প্রাধান্য রাখছি, ছুটে চলা যাত্রায় আমাদের এগিয়ে চলা।

মুহাম্মদ মাহবুবুব রহমান খোকন
সভাপতি
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা

 
মুহাম্মদ মাহবুবুব রহমান খোকন
জনাব লায়ন এমরানুল হক
সাধারণ সম্পাদক
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা।

সাধারণ সম্পাদক

সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য

বৃহত্তর কুমিল্লার পূর্বনাম ত্রিপুরা। বর্তমানে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বিভক্ত করা হয়েছে। উত্তর দক্ষিণে লালমাই পাহাড়ের মধ্যস্থলে পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত ধনাগোদা নদী কুমিল্লা ও চাঁদপুরকে বিভক্ত করেছে। উক্ত দক্ষিণ লালমাই পাহাড়ের উপর কুমিল্লা জেলার অবস্থান এবং পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমানা যেখানে পাহাড়, নদী, খাল-বিল, জলাভূমি ও লোকালয় মিলে অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বৃহত্তর কুমিল্লা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা বেশ কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রে রয়েছে। মেঘনা তীরবর্তী গোষ্ঠীর বসবাসকারীদের অধিবাসে এ প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক এবং ময়নামতির ঐতিহাসিক স্থানকে কেন্দ্র করে প্রাচীন সভ্যতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। কুমিল্লার নিদর্শন ছিল এ অঞ্চলের মহামান্য আইনিক প্রবর্তকের নববিধি অনুসারে প্রশাসনিক সদর দপ্তর।

বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি খ্যাতির জনপদদের অভ্যন্তর সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। আমাদের এক সুন্দর ভবিষ্যৎ রয়েছে। যুগের মুখে এ অঙ্গনের জ্ঞানে সংযোজনে আমাদের ঐতিহ্য নির্ধারিত অভিনব রেখেছে। আমরা তাদের ঐতিহ্যে ঋণী ও উত্তরাধিকার। আমরা আমাদের ঐতিহ্যে বিশ্বাসী ও ঐতিহ্য রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নতুন নির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের নেতৃত্বে সমিতির মাধ্যমে ঐতিহাসিক সমিতির নির্বাচন ২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে। নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের অধিভুক্ত হয়ে এ উদ্যমে যাত্রা শুরু ২০২৫-২০২৭ নির্বাচিত কমিটি নিয়ে। যার ভূমিকায়, জীবনের সর্বাঙ্গীন ও মহাত্মনৈতিক পাশ্বালম্বী বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম কার্যকর থাকবে।

তিনটি জেলার প্রবাসী জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘণিভূত, মধুর ও অন্তরিক হোক এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য থাকলেও এই সমিতিকে করা হবে রাজনৈতিক মুক্ত ও অরাজনৈতিক একটি সংস্থা। বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি হবে অরাজনৈতিক ও সেবামূলক সংগঠন। আরো উল্লেখ থাকে যে, কুমিল্লাকে বিভাগ করার সুপারিশ করেছি আমরা এবং বৃহত্তর কুমিল্লার জন-দাবির প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকা এবং কুমিল্লাকে বিভাগ হিসেবের ঘোষনা দিয়ে কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন অব্যহত করিব।

কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবাসী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় নতুন পরিকল্পনা গড়ার মাধ্যমে সমিতির সকল উদ্দীপন ও আদর্শ বাস্তবায়ন করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সহায় হউন। আমিন।

লায়ন মোঃ এমরানুল হক
সাধারণ সম্পাদক
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ঢাকা

Scroll to Top